Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন-খাদ্যমন্ত্রী
বিস্তারিত

মো: দেলোয়ার হোসেন: কৃষি বিপ্লবের রুপকার বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষিকে কর্মসংস্থানের বড় খাত হিসেবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন ভাবে ভর্তুকি দিয়ে কৃষি প্রযুক্তি প্রবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে এদেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন। তিনি কৃষির উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির বিস্তারের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে কৃষিতে আধুনিকায়নে কৃষি যন্ত্রপাতির উপর ভর্তুকি দিয়ে কৃষক সংগঠনের মাধ্যমে কৃষকের নিকট হস্তান্তর করা হচ্ছে।

 

রবিবার (২৮ মে) আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগ কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পোরশা উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি প্রযুক্তি মেলা/২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি।

তিনি বলেন, কৃষিতে আধুনিকায়নে কৃষি যন্ত্রপাতির উপর ভর্তুকি দিয়ে কৃষক তার ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয় কমানো সম্ভব হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন উৎপাদন ব্যয় কমেছে আবার অন্য দিকে ঠিক তেমনি শ্রমিক সংকট মোকাবিলা করে সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে। তাই তিনি মেলায় আগত কৃষকদের লক্ষ্য করে বলেন মেলায় যেসকল প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা গ্রহন এবং তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে আরো উন্নয়নের আহবান জানান।

পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সালমা আক্তার এর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পোরশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মো: কাজীবুল ইসলাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা: মমতাজ বেগম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মো: মোফাজ্জল হোসেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন, পোরশা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার সরকার। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসাণের মাধ্যমে কৃষির বৈপ্লবিক পরিবর্তন করা সম্ভব। আর এই প্রযুক্তি কৃষকের মাঝে পৌছে দেয়ার উপর্যুক্ত মাধ্যম হলো মেলা। তাই মেলায় কৃষকের সার্বিক উপস্থিতির মাধ্যমে প্রর্দশিত প্রযুক্তি সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারবেন। তিনি কৃষকদের মেলায় সর্বাত্বক ভাবে উপস্থিত হয়ে প্রযুক্তি সম্পর্কে শিক্ষা অর্জনের অনুরোধ জানান।

সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে বিনির্মাণে কৃষি ক্ষেত্রেও আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। যাতে কৃষির উন্নয়নের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়নের চুরান্ত শিখরে পর্দাপণ করা যেতে পারে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে মেলায় সকলের ব্যাপক উপস্থিতি কামনা করেন।
৩ দিন ব্যাপি মেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিভিন্ন কোম্পানী, ভার্মি কম্পোষ্ট ও নার্সারীসহ ১১ টি ষ্টল প্রদান করে নিজ নিজ প্রযুক্তি সম্পর্কে তুলে ধরেন।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন, কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্টমিডিয়ার সাংবাদিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রায় ছয়শতাধিক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।x

ছবি
ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
29/05/2023
আর্কাইভ তারিখ
30/01/2024