Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
শুধু ফসল চাষ করলে হবে না, মাটির স্বাস্থ্য টিক রাখতে হবে – ডিএইপরিচালক
বিস্তারিত

মো. দেলোয়ার হোসেন (রাজশাহী) : মাটিতে শুধু ফসল চাষ করলে হবে না, মাটির স্বাস্থ্য টিক রাখতে হবে। আর তাই মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে রাসায়নিক সারের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের সফলতা কমনা করেন এবং উপস্থিত কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সংগে কাজ করার অনুরোধ করেন।

আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসরণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আয়োজনে আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরেজমিন উইং) কৃষিবিদ মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী। গত ০১ ডিসেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ ড. শেখ মো. রুহুল আমীন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরদার শফি উদ্দিন আহমদ, রাজশাহী জেলার উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. মোজদার হোসেন ও পাবনার ঈশ্বরদী কৃষি প্রশিক্ষন ইনষ্টিটিউট এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মো. মাহমুদুর ফারুক। অনুষ্ঠানে সভাপত্বিত করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শামছুল ওয়াদুদ।

প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষির উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কৃষি খাতের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তাই দেশকে সমৃদ্ধিশালী করতে হলে কৃষি তথা কৃষকের উন্নয়ন করতে হবে। আর এজন্য কৃষকের পাশে থেকে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে। স্মার্ট কৃষি বির্নিমানের মাধ্যমে বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা, বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ সময় তিনি ।

তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের গৃহিত কার্যক্রমকে আরো তরান্বিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রকল্পের আওতায় উচ্চমুল্যের ফসলের মধ্যে গ্রীষ্মকালিন টমেটো, কালো তরমুজ, ক্যাপসিক্যাম, গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ, রসুন ও আলু এসব জাতীয় ফসল চাষের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। আর এজন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সকলকে সমন্বয় এবং মনিটরিং এর মাধ্যমে শতভাগ সফলতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমন ধান সংগ্রহ শেষে বোরো ধানের চাষ বৃদ্ধি ও তেল ফসল সরিষা এবং মসল্লা ফসল পিয়াজের আবাদ বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। যেন আগামীতে দেশের চাহিদা পূরণে অগ্রণী ভুমিকা পালন করা সম্ভব হয়।

কর্মশালার স্বাগত বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. এস এম হাসানুজ্জামান বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসরণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আধুনিক প্রযুক্তি মাধ্যমে কৃষির উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। তারমধ্যে পলিনেট হাউজ, মিনি কোল্ড স্টোরেজ, ধানের ব্লক প্রর্দশনী, নিরাপদ পান চাষ, তাল গাছ রোপন, সরিষা চাষ, কৃষি যান্তিকীকরণ, প্রযুক্তি সম্প্রসরণ উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া উচ্চমুল্যেও ফসল ব্লাকবেরী তরমুজ, ক্যাপসিক্যাম, গ্রীষ্মকালিন টমেটো, শশা, গ্রীষ্মকালিন পিয়াজ এসকল ফসলের চাষ বাড়াতে হবে এবং প্রর্দশীত প্রযুক্তির মধ্যে কুইক কম্পোষ্ট, র্ভামি কম্পোষ্ট, কেঁচো কম্পোষ্ট তৈরী ও বিপননে সহযোগীতা করতে হবে।

তিনি বলেন, রাজশাহী বিভাগের ফসলের নিবিরতা বৃদ্ধি পেয়ে ফসলের উৎপাদন শতকরা ১০-১৫ ভাগ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে এবং মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্প সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সকলের সহযোগিতায় পূর্ণাঙ্গ সফলতা অর্জন সম্ভব। সুষ্ঠভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন, এ সময় তিনি।

সমাপনী বক্তব্যে কর্মশালার সভাপতি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সহযোগীতা কামনা করেন। তিনি বলেন, উচ্চমুল্যের ফসল চাষ করতে মাটির স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হবে। তাই মাটি পরীক্ষা করতে হবে এবং জৈব সার হিসেবে ভার্মি কম্পোষ্ট, কেঁচো কম্পোষ্ট ও সবুজ সার ব্যবহারে নজর দিতে হবে। তিনি উপস্থিত সকল কর্মকর্তার একান্ত সহযোগীতা কামনা করেন।

আঞ্চলিক কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, জেলা প্রশিক্ষন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপপরিচালক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসরণ কর্মকর্তা এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার ২০০ জন কর্মকর্তাসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

ছবি
ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
04/12/2023
আর্কাইভ তারিখ
30/07/2026